নেক অপেক্ষার পর সোমবার বাংলাদেশের সময় সকাল এগারটা নাগাদ মঙ্গলের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র যান রোভার কিউরিওসিটি।
কান্না জরিত অবস্থায়
এটিই আমেরিকা তথা বিশ্বের প্রথম পরমাণু শক্তি তথা প্লুটোনিয়াম ব্যাটারি চালিত প্রথম মহাকাশযান। দু বছরের মতো সময় ধরে সাড়ে পাঁচ কোটি কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আজ সকালে সফলভাবে অবরতণ করল কিউরিওসিটি। ভিডিও
নামের সাথর্কতা বজায় রেখেই মহজলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না? প্রাণ ছিল কি না? কোন কোন খনিজ বা মৌল আছে? মঙ্গলে প্রাণ সৃষ্টি করা যায় কি না ইত্যাদি হাজারো কৌতূহলের নিরসন ঘটাতে সবসময় কাজ করবে কিউরিওসিটি। ৬৮০ দিন ধরে মঙ্গলে কাজ করবে সে। তথ্য ও ছবি পাঠাবে নাসাকে।
ছবি
প্রসঙ্গত, সৌরজগতের সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বহু বছর পরে সার্নের ভূগর্ভে বিশ্বের হাজার খানেক বিজ্ঞানী ঈশ্বর কণার কাছাকাছি যেতে পেরেছেন। কিন্তু আজকের সাফল্য যেন তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। কারণ মনুষ্যবিহীন একটা বিশাল ভারি এক টনের মহাকাশযান অন্য গ্রহে নামিয়ে দিয়ে আসাটা প্রচণ্ড ঝুঁকির ছিল। তবে ২০০৩ সাল থেকে বিজ্ঞানীদের খাটাখাটনি সার্থক। যাত্রা সফল কিউরিওসিটির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার মতে, লাল গ্রহে মানবজাতির উপনিবেশ তৈরিরর লক্ষ্যে এটা প্রথম ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
আনন্দের সময়
মঙ্গলে অবতরনের প্রক্রিয়া
একটা ১ টন ওজনের যানকে মঙ্গলে সুষ্ঠুভাবে নামাতে পারাটা অকল্পনীয় সাফল্য। মানুষের সদিচ্ছা ও প্রযুক্তি আজ যে জায়গায় পৌঁছল তা আগামী প্রজন্মকে আরও সাহস ও আশা জোগাবে। মঙ্গলে মনুষ্য বসবাসের উপযোগী উপনিবেশগড়ে তোলার প্রথম পদক্ষেপ। সোমবার সকালে কিউরিওসিটি মঙ্গলের মাটি ছোঁয়া মাত্র নাসার কন্ট্রোল রুমে উল্লাসে লাফিয়ে ওঠেন অনিতা সেনগুপ্ত সহ সবাই। আনন্দে কেঁদে পেলেন বহু বিজ্ঞানী।